জ্যাক স্নাইডার’স জাস্টিস লিগ মুভি রিভিউ

জ্যাক স্নাইডার’স জাস্টিস লিগ মুভির রিভিউ পড়ার আগে। জ্যাক স্নাইডার’স জাস্টিস লিগ ইংলিশ মুভির অভিনেতা, অভিনত্রী, নির্মাতাসহ সকল কলাকুশলী ও মুক্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য নিচের প্রদত্ত লিংক থেকে জেনে আসুন।

জ্যাক স্নাইডার’স জাস্টিস লিগ মুভি

জ্যাক স্নাইডার’স জাস্টিস লিগ সিনেমা সম্পর্কিত তথ্যাদি জানা থাকলে আমাদের রিভিও পড়ে মজা পাবেন এবং আপনি আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। আর হ্যা আপনি চাইলে আপনার প্রিয় মুভি বা তারকার সম্পর্কে আপনার মতামত বা রিভিউ লিখে আমাদের পাঠাতে পারেন। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক……

জ্যাক স্নাইডার’স জাস্টিস লিগ মুভি রিভিউঃ জ্যাক স্নাইডারের মনমাতানো ডিরেকশন

  • পার্সোনাল রেটিংঃ ৯/১০
  • রিভিউকারীঃ এম এইচ নিরব

ও ভাই ৪ ঘন্টার সিনেমা কোন মজা নাকি? যদি এমনই চলতে থাকে তাহলে তো চোখের ১২ টা বেজে যাবে। এতো বড় তবুও jack snyder sir এর মুভি তাই শান্ত থাকা লাগলো, কিন্তু DC র একদম অন্ধ ভক্তরা কি আর শান্ত থাকতে পারে?

কেননা এতো খাটুনি, এত লড়াই-ঝগড়া করার পর অবশেষে তাদের স্বপ্ন পূরণ হলো এবং ডিসি লাভাররা দেখতে পেরেছে synder-cut Justice League।

৪ ঘন্টার মুভি দেখে শেষ করার পর যখন আমি রিভিও লিখতে বসবো তখন আমি একটু বিভ্রান্তি তে ভুগছি যে এই মুভি কে আমরা কিভাবে রিভিও করবো, ওয়ান টাইম ওয়াচ মুভি র ভক্ত দের জন্য তৈরী করা হয়েছে বলে এই মুভির ভুল গুলা বাদ দিব নাকি এটাকে পুরনো Justice League মুভির সাথে তুলনা করবো?

এই পোস্ট এর শুরু তে আমি যে বিভ্রান্তির কথা বলছিলাম, এটার প্রধান কারন হলোঃ এরকম কোন এক্সপেরিমেন্ট আগে কখনও করা হয় নি, এমন হাইপ আগে কোন মুভির জন্য তৈরী হয় নি, তাও এমন মুভির জন্য যেটার কাহিনি ৫০%-৬০% আমরা আগে থেকেই জানি। আপনি যদি আগের দুইটা মুভি নিয়েই তুলনা করেন তবে এটি সম্পুর্ন একটি ভিন্ন মুভি। কিন্তু synder cut মুভি দেখার সময় আগের মুভির সাথে মিল অবশ্যই খুজে পাওয়া যায়, আর এই দুটা মুভির মধ্যে একটা বড় মিল হলো এটার অ্যাকশন, কেননা  Joss Whedon এর মুভির পরবর্তী ডিরেক্টর অর্থাৎ jack snyder এই মুভির অ্যাকশানে খুব একটা পরিবর্তন করেন নি।

তো আপনি যদি এইরকম ভেবে এই মুভি দেখতে জান যে আপনি একদম নতুন কিছু দেখবেন তবে আপনি হতাশ ও হতে পারেন। এটা ভেবে মুভি দেখতে জান যে, পুরনো মুভির extended version দেখতে যাচ্ছেন যা পুরনো মুভির দ্বিগুণ। ত এখন এই রিভিও এর প্রধান কথা এই যে, ওই extended দুই ঘন্টার মধ্যে আমরা নতুন কিছু দেখতে পারি কিনা আমার মতে, হ্যা।

কেননা যখন আমি এই পুরনো Justice League মুভি দেখি তখন এর মধ্যে আমার যেটা সব থেকে বেশি সমস্যা লেগেছে তা হলো এর ভিলেন, যা কোনভাবেই DC র dark theme এর সাথে যায় না। আর synder cut এর কথা যদি বলতে আছি তাহলে এটা বলতেই হয় যে এটা দেখে পুরো dark অনুভুতি আসে। শুধু ভিলেন এর লুক পরিবর্তন করেই নয়, ভিলেনকে নতুন একটা কাহিনি দেওয়া ছিল যে সে কেন এগুলা করছে, তার লক্ষ্য কি। যে কারনে মুভি আরও রোমাঞ্চকর হয়, আর এটা পুরনো মুভির মধ্যে ছিল না বললেই চলে। এরপর বলতে হয়, syborg এর চরিত্রর কথা যার পুরো back-story আগের সিনেমাতে অনুপস্থিত ছিল যা synder cut এ পুরো বর্ণনা করা হয়েছে।

পরিশেষে বলতে হয় যদি আগের Justice League রিলিজ না করে সরাসরি synder cut রিলিজ করা হত তাহলে কি ভালো হত? বলতে হয় হ্যা। কেননা এটি পুরনো মুভি থেকে অনেক আলাদা এবং DC কে Marvel এর সাথে তুলনা করা যেত যদি এই মুভি আগেই রিলিজ হত।

overall, এই মুভি টা সবার একবার হলেও দেখা উচিত, যদি আপনি DC র ভক্ত হন তাহলে মুভিটা আপনার মিস করা একদম ঠিক হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *