জীবন বীমা
জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি যা একজন বীমা গ্রহীতা ও একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত হয়; যেখানে বীমা প্রতিষ্ঠান এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে বীমা গ্রহীতার মৃত্যু হলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীকে প্রদান করবে। চুক্তির শর্তানুসারে কখনো কখনো মারাত্মক অসুস্থ হলেও বীমা গ্রহীতা অর্থ পেয়ে থাকে। বীমা গ্রহীতা সাধারণতঃ এককালীন বা নির্দিষ্ট সময়ান্তে বীমা কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করে থাকে।
বীমা গ্রহীতার সুবিধা হচ্ছে “মানসিক প্রশান্তি” লাভ; কারণ তিনি জানেন যে তার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীরা অর্থ সমস্যায় পতিত হবে না।
এই পদ্ধতিটিতে অবসর গ্রহণের পর আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও ব্যবহার করা হয়, যদি বীমা গ্রহীতা সতর্কতার সাথে বীমা গ্রহণ করেন ও শর্তাবলীতে এরূপ উল্লেখ করেন।
জীবন বীমা একটি আইনগত চুক্তি এবং চুক্তির শর্ত বীমার আওতা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এখানে বিশেষ শর্তাবলী লিখিত থাকে এবং তার দায় বীমা গ্রহীতার উপর বর্তায়; যেমনঃ আত্মহত্যা, যুদ্ধ প্রভৃতি কারণে মৃত্যু ঘটলে বীমা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীকে কোনোরূপ অর্থ প্রদান করা হয় না।
জীবন-নির্ভর চুক্তি দুটি প্রধান ধারায় বিভক্ত:
নিরাপত্তা পলিসি
বিনিয়োগ পলিসি
জীবন বীমা ইন্সুরেন্স
বাংলাদেশের মানুষের কাছে জীবন বীমা বা লাইফ ইনসিওরেন্সের মাধ্যমে জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ধারণাটি খুবই সাধারণ হলেও এর মাধ্যমে বিনিয়োগ ও সম্পদ গড়ার সম্ভাবনাটি সবার কাছে পরিষ্কার নয়। লাইফ ইনসিওরেন্স সম্পর্কিত ধারণা এবং তা কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে পারলেই আপনি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পদ পরিচালনা ও সম্পদ গড়ার মাধ্যমে পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। জীবন বীমা পলিসি নিশ্চিত করে দেয় যে, যদি বীমাধারীর মৃত্যু হয় তবে তার পরিবার আর্থিক সহায়তা পাবে।
লাইফ ইনসিওরেন্সের সাধারণ ধারণাটি বোঝা খুবই সহজ। কিছু মানুষ নিয়মিত একটি অ্যাকাউন্টেই টাকা জমান। এ সকল মানুষ নিজের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে তার পরিবারকে ও তার উপর নির্ভরশীল (বেনিফিসিয়রি) ব্যক্তিকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে চান। এই মানুষদের মধ্যে কারো যদি মৃত্যু হয় তবে তার বেনিফিসিয়ারিদের ব্যয় সামলাতে সেই অর্থ প্রদান করা হবে। সেই ইনসিওরেন্স কোম্পানি বাকি টাকা তহবিল বাড়ানোর জন্য কোথাও ইনভেস্ট করতে পারে এবং গ্রাহকের প্রদান করে। লাইফ ইনসিওরেন্স হল একটি দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা। যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুতে তার পরিবারকে বা তার উপর নির্ভরশীল অথবা যেকোনো বেনিফিসিয়ারিকে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে থাকে। যারা জানেন যে- দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে অল্প অল্প করে নিয়মিত জমালে তা একদিন বড় অবদান রাখতে পারে; তারাই বুঝতে পারে এর মধ্যে কী সম্ভাবনা আর শক্তি আছে।
বাংলাদেশের জীবণ বীমা কোম্পানি
বাংলাদেশে বিভিন্ন জীবন বীমা কোম্পানি রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় কোম্পানি নিম্নলিখিতঃ
- প্রিমিয়ার লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড
- মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
- এফজেডসি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- প্রবাসী জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- মেট্রোপলিটান জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- প্রগ্রেসিভ জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- ডিসিপ্লিন জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- জনতা জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- সুন্দরবন জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- মোহাম্মদিয়া জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- ফেনিক্স জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড
- জীবন বীমা কর্পোরেশন
এই সব কোম্পানি নিয়মিত জীবন বীমা পলিসি প্রদান করে এবং বিভিন্ন পলিসি প্ল্যান বিক্রি করে। প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব শর্তাবলী অনুযায়ী বীমা প্রদান করে থাকে।
জীবন বীমার সুবিধা
মানুষের আর্থিক জীবনযাত্রায় জীবন বীমা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এক সংযোজন। জীবন বীমার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে যা আপনার এবং আপনার পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। চলুন জীবন বীমার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা সম্পর্কে আজকে জেনে নেই।
জীবনের ঝুঁকির ক্ষেত্রে নিরাপত্তাঃ সমস্যা কখনো সংকেত দিয়ে আসে না। আকস্মিক আর্থিক সমস্যা মোকাবেলায় জীবন বীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটা আপনার ও পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অর্থনৈতিক সংকটে জীবন বীমা আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। আপনার অবর্তমানে এটা আপনার পরিবারের নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করবে।
মৃত্যুকালীন সুবিধাঃ জীবন বীমায় বিনিয়োগ আপনার ও আপনার পরিবারের নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করে। বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুতে, বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সমস্ত অর্থ (বীমার মূল অর্থ ও বোনাস অর্থ) শোকসন্তপ্ত পরিবারকে পরিশোধ করে। এছাড়াও,যাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে আয় হ্রাস পেয়েছে, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য জীবন বীমা যথাযথ সুবিধা সুরক্ষিত রাখে। জীবন বীমায় আপনি অনেকগুলো পলিসির মধ্যে থেকে নিজের প্রয়োজনের সাথে মানানসই পলিসি নির্বাচন করতে পারবেন।
নমনীয়তাঃ অনেক সময় বীমাকৃত ব্যক্তি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে তাদের বীমা পলিসি গুলো আর প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করছে না অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিমিয়াম উপযুক্ত হচ্ছে না। সেক্ষত্রে কিন্তু সহজেই প্রয়োজন ও সুবিধার মধ্যে সমন্বয় করা যায়। পলিসির মালিকেরা স্বাধীন ভাবে বীমার উত্তরাধিকারী নির্বাচন করতে পারেন, যারা পরবর্তীতে মৃত্যুকালীন সুবিধা ভোগ করবেন।
বিনিয়োগে রিটার্নঃ জীবন বীমা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী নিশ্চিত আয় প্রদান করে। জীবন বীমায় বীমাকৃত ব্যক্তি মেয়াদী বোনাসের সুবিধা পেয়ে থাকেন, যা পলিসির নগদ মূল্যের সাথে জমা হয়। বিনিয়োগকৃত অর্থ পলিসির মেয়াদ শেষে অথবা বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর নিশ্চিত অর্থ (যে পরিমাণ অর্থের জীবন বীমা করা হয়) হিসেবে রিটার্ন আসবে।
কর সুবিধাঃ জীবন বীমায় আপনি অনেক কর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বীমার আয় কিংবা পলিসি লোনের ক্ষেত্রে কোন কর প্রদান করতে হয় না। তাছাড়া বীমার পলিসি পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত কর আরোপের সম্ভাবনা থাকে না।
লোন গ্রহণের সুযোগঃ জীবন বীমায় লোন নেবার সুযোগ রয়েছে। প্রচন্ড আর্থিক প্রয়োজনে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে লোন গ্রহণের সুবিধা প্রদান করে। লোনের পরিমাণ মূলত পলিসির নিয়ম বা আইনের উপর নির্ভর করে।
নিম্ন হারের প্রিমিয়ামঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বীমার সময়সীমার প্রথম বছরগুলোতে প্রিমিয়াম পরিশোধের হার অনেক কম থাকে।
দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ঃ অর্থ সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ গড়ে তুলতে জীবন বীমা অনেক ভালো একটি উপায়। এটা একটি আদর্শ দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় উপাদান, যা আপনার অবসর পরবর্তী আর্থিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। এমনকি তা সন্তানের বিয়ের মতো ভবিষ্যত লক্ষ পূরণে কাজে আসবে। এভাবে জীবন বীমায় সুরক্ষা ও সঞ্চয় – উভয় সুবিধাই ভোগ করা যায়।
বিভিন্ন পর্যায়ের পরিকল্পনাঃ জীবন বীমার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আপনি জীবনের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা করতে পারেন। জীবনে একেকটি পর্যায়ে আপনি ও আপনার পরিবার একেকটি প্রয়োজনের সম্মুখিন হতে পারেন। সেসব ক্ষেত্রে জীবন বীমা প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করবে। আপনার সন্তানের শিক্ষা, বিয়ে, আপনার নিজের একটা স্বপ্নের বাড়ী, অবসরের পরবর্তী দিনগুলো সুন্দরভাবে কাটানো – সবকিছু কিন্তু জীবন বীমার মাধ্যমে সম্ভব !
ঋণ থেকে ভবিষ্যৎ মুক্তিঃ আমাদের হাতে সবসময় টাকা থাকে না। কিন্তু আপনি যদি জীবন বীমা করিয়ে রাখেন তাহলে আপনার ভবিষ্যতের জন্য এক নিশ্চিত সঞ্চয় হতে থাকবে। আর পরে বার্ধক্যের সময় তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অৰ্থাৎ জীবনবীমা বার্ধক্যের সময় আপনার সাথী হয়ে দাড়াবে। আর আপনার ভগবান না করুক কিছু খারাপ ঘটলেও জীবনবীমা থাকাকালীন আপনার পরিবার পাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ।আর তার ফলে তাদের সংসারের খরচ চালাতে অসুবিধা হবে না কোনোদিন।তাই জীবনবীমা না থাকলে আজই করান জীবন বীমা।
দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পূরণঃ অনেকের ধারণা জীবনবীমা করা হলে জীবিত অবস্থায় ব্যাঙ্কের চেয়ে তাতে কোনও বাড়তি আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে প্রথম থেকে সেই অনুযায়ী জীবনবীমা করেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার লক্ষ্য অবশ্যই পূর্ণ হবে। আর তার জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে নির্দিষ্ট আর্থিক সুবিধার পলিসি টার্ম।
আয় অনুযায়ী বীমাঃ জীবন বীমার রেঞ্জ অনেক বিশাল। এখানে যেমন আপনি পাবেন ন্যুনতম মূলধনের টাকার পলিসি, তেমনই আপনি আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী বড়ো মাপের আর্থিক সুবিধা যুক্ত পলিসি গ্রহণ করতে পারেন। বিভিন্ন সরকারি কোম্পানির সাথে সাথে বেসরকারি কোম্পানির নানা পলিসি আজ খবরের শিরোনামে। এক বছর বয়সের শিশু থেকে বার্ধক্য বয়সের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পাবেন নানান বীমা। তাই সবার ভবিষ্যৎ আর্থিক সুবিধা সম্পন্ন করতে পারেন। নানান টার্ম, নানান কভারেজ ও নমিনীযুক্ত জীবনবীমা পাওয়া যায় এখন। তাই আপনার পছন্দের জীবনবীমা গ্রহণ করুন।
বীমা কোন লাভের জন্য নয় তবে বীমা সুরক্ষার জন্য। আপনার ভবিষ্যৎ ও পরিবারের সুরক্ষায় বীমার গুরুত্ব অপরিসীম।
জীবন বীমার অসুবিধা
বয়স অনুযায়ী পলিসিঃ অনেকেই জানেন না যে জীবন বীমা হয় বয়স অনুযায়ী। আপনি যদি কম বয়স থেকে জীবন বীমা করিয়ে থাকেন তাহলে আপনার গাঁটের টাকা কম খরচ হবে। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার মাসিক বা ষান্মাসিক বা বাৎসরিক পলিসির টাকার পরিমান বাড়তে থাকে। যেমন আপনার ছেলের বয়স ১৫ হলে আর আপনার বয়স ৪০ বছর হলে যদি দুজনের জন্যই ১৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সুবিধাযুক্ত জীবন বীমা করানোর কথা ভাবেন তাহলে আপনি দেখতে পারেন আপনার ছেলের জন্য বীমার পলিসি আর আপনার জন্য বীমার পলিসি অনেক টাকার পার্থক্য হবে। আর তাই অনেকেই জীবন বীমার এই নীতিকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া বলে মনে করেন।
ভুয়ো কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নেওয়াঃ আজকে আমাদের দেশে সরকারি বেসরকারি বীমা কোম্পানি অনেক। এদেরই মধ্যে আছে অনেক ভুয়ো কোম্পানি। আর তাই সব কিছু কাগজপত্র দেখেই বেসরকারি কোম্পানির জীবনবীমা করান। বীমা কোম্পানির সব কিছু খবর নিয়ে তবেই বীমা করা কথা ভাবুন। বেসরকারি কোম্পানির লোভনীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নাম করে আপনার গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করতে পারে।
জীবনবীমার জটিল প্ল্যানঃ আমরা অনেকেই জীবন বীমা করানোর আগে ভালো করে খুঁটিয়ে পড়ি না জীবনবীমার নিয়ামবালী ও শর্তাবলী। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের প্রয়োজনে টাকা ফিরে পেতে বা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ ফিরে পেতে বেসরকারি কোম্পানির জীবন বীমা কোম্পানি থেকে আমাদের অনেক কষ্ট পেতে হয়। তাই পলিসি করার আগে জেনে নিন সবরকম নিয়মাবলী। আপনার পলিসি এজেন্টদের কাছে সবকিছু জেনে নিয়ে তবেই করুন পলিসি।
ঋণগ্রস্ত বীমা কোম্পানিঃ সরকারি কোম্পানি ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির লোভনীয় বীমা করানোর আগে ভালো করে যাচাই করে দেখে নিন সেই কোম্পানির আর্থিক সঞ্চয়ের দিক। অনেক সময় নানা বেসরকারি কোম্পানি নিজেদের ঋণগ্রস্ত ঘোষণা করে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে। তাই সবকিছু জেনে তবেই বেসরকারি কোম্পানির জীবন বীমা করুন।
টাকা ফেরতের নানান অসুবিধাঃ অনেকসময় জীবন বীমা করে তার ম্যাচুরিটি হওয়ার পর টাকা ফিরে পেতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানের নতুন নানান নিয়ম বীমা পলিসিকে আরও জটিল করে তুলেছে। অনেকের বীমার সময় ভোটার কার্ডের মাধ্যমে তা হওয়ার পর পরবর্তীতে আধার কার্ড জমা করার বা জন্ম সার্টিফিকেট বা মৃত্যু সার্টিফিকেট জমা করার মতো নানান সমস্যায় পড়ে সাধারণ গ্রাহক। তাই এখনও অনেক গ্রামীণ মানুষ, প্রান্তিক মানুষ নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন জীবন বীমার আওতা থেকে। তাই সবকিছু জেনে অবশ্যই করুন জীবনবীমা, যা দেবে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক সুবিধা।