কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড – কক্সবাজার যাওয়ার উপায়, থাকার ব্যবস্থা ও খরচসহ

সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এই ভ্রমণ গাইডটি সপরিবারে বেড়াতে চান তাদের জন্য।

কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। যেখানে আপনি সুন্দর সুযোগ পাবেন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার পানি ও সমুদ্র তৈরি সৈকতিক দৃশ্য উপভোগ করতে।

মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, মাতার বাড়ি, শাহপরী, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারকে করেছে আরো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে মাতা মুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কুহেলিয়অ ও নাফ নদী। পর্যটন, বনজসম্পদ, মৎস্য, শুটকিমাছ, শামুক, ঝিনুক ও সিলিকাসমৃদ্ধ বালুর জন্য কক্সবাজারের অবস্থান তাই ভ্রমণবিলাসী পর্যটকদের কাছে সবার উপরে।

কক্সবাজারে যে স্থানগুলো ভ্রমণের জন্য উপযোগী সেগুলো হলোঃ

বিশ্ববিখ্যাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, মহামায়া দ্বীপ, মহেশখালী ঝর্ণা, হিমছড়ি ঝর্ণা, সাগর কুটি, ইনানি বিচ, ডালার চর, সাগরদ্বীপ, হিমচর পাহাড়, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে অনেক সুন্দর এবং স্বপ্নময়। সামনে প্রসারিত সমুদ্র, চট্টগ্রামের পার্বত্য প্রদেশ এবং সমুদ্র সৈকত উপকূলে অবস্থিত সুন্দর পাহাড়গুলো দেখতে আপনার চোখ ভরে যাবে।

কক্সবাজারে আপনি সৈকত সমুদ্র বিহার ও দরজিলিং থেকে আসা চা পাচ্ছেন। আপনি সাইন্ট মার্টিন্স দ্বীপে যেতে পারেন এবং তারপরে সাইন্ট মার্টিন্স দ্বীপ নেভাল বেসার মাছ খাতে যেতে পারেন। আপনি চুয়াচুই দ্বীপে ও মোহেশখালী সমুদ্র কোয়াকিং এ যেতে পারেন।

আপনি কক্সবাজারে শপিং করতে পারেন সেখানে আপনি খুব সস্তা বস্তু কিনতে পারেন। এছাড়াও আপনি প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশি খাবার খেতে পারেন। কক্সবাজারে হাঙ্গরি সুইট একটি খুব জনপ্রিয় খাবার। এছাড়াও আপনি সহজেই সস্তা মুরগির বিরিইয়ানি খেতে পারবেন।

কক্সবাজার ভ্রমণ প্ল্যান

কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য প্রথমেই আপনার ট্রিপের দিনগুলি নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কক্সবাজারে থাকতে চান কতদিনের জন্য এবং এসব পর্যটন জায়গা দেখতে চান কি কি।

 

আপনি কক্সবাজারে যাওয়ার আগে প্রথমে চট্টগ্রাম শহর দেখতে পারেন। সেখানে আপনি পার্ক বিশ্বরম এবং আগ্রাবাদী জাদুঘর, পটেনগে সেন্ট মার্টিন্স এবং ফয়েজ লেক এর দিকে যেতে পারেন।

কক্সবাজারে থাকার জন্য সেখানে আছে অনেক হোটেল এবং রিসোর্ট। সেখান থেকে আপনি সৈকত, চুয়াচুই দ্বীপ এবং সাইন্ট মার্টিন্স দ্বীপে যেতে পারেন। এছাড়াও আপনি কক্সবাজারে ক্যাম্পিং ও ট্রেকিং করতে পারেন।

কক্সবাজারে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস নিয়ে যাওয়া উচিত যেমন ক্লোথিং, ক্যামেরা, সানস্ক্রিন লোশন, স্ন্যাক এবং পানির বোতল।

কক্সবাজারে থাকার হোটেল ও রিসোর্ট

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও দর্শনীয় বিচ কক্সবাজারে রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের বেশ কয়েকটি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। এছাড়া সরকারি ও ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় বিভিন্ন মানের অনেক রিসোর্ট, হোটেল ও বোর্ডিং হাউস।

আপনি নিজের বাজেট এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে একটি হোটেল বা রিসোর্ট নির্বাচন করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় হোটেল এবং রিসোর্ট হলো:

১. লা মেরিডিয়ান হোটেল এন্ড রিসোর্ট (La Meridian Hotel & Resort)
২. লান্দমার্ক সিআই বিচ রিসোর্ট (Lanmark Sea View Resort)
৩. সমুদ্র প্রহরী রিসোর্ট (Samudra Prayri Resort)
৪. সাফারি পার্ক হোটেল এন্ড কটেজ (Safari Park Hotel & Cottage)
৫. প্রিষ্টিন ইন্টারন্যাশনাল হোটেল (Pristine International Hotel)

এছাড়াও, কক্সবাজারে থাকার জন্য পর্যটকদের বেশিরভাগ সুবিধা ও খাবারের দরজা নির্বাচন করে পান্থপথ বিচরণ করে নেয়া উচিত।

কিছু জনপ্রিয় হোটেলের ভাড়াঃ

কক্সবাজারের লা মেরিডিয়ান হোটেল এন্ড রিসোর্টের রুম এর ভাড়া গড়প্রতি ১০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
লান্ডমার্ক সিআই বিচ রিসোর্টের রুম এর ভাড়া গড়প্রতি ৮,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সমুদ্র প্রহরী রিসোর্টের রুম এর ভাড়া গড়প্রতি ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অন্যান্য হোটেল ভাড়া:

কক্সবাজারে হোটেল ভাড়ার দাম বিভিন্ন শ্রেণীর হোটেলে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে এবং এটি হটেলের সুবিধার উপর ভিত্তি করেও পরিবর্তিত হতে পারে।

সর্বনিম্ন ২০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকায় কক্সবাজারে যাতযাপন করা যায়। হোটেল সিগালের ভাড়া ২,২০০-৭,০০০ টাকা। হোটেল শৈবালের ভাড়া ১,০০০-৩,০০০ টাকা। হোটেল লাবণীর ভাড়া ৬০০-৩,০০০ টাকা। উপলের ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকা। সি ক্রাউনের ভাড়া ২০০-৩,০০০ টাকা। জিয়া গেস্ট হল ৩০০-২,০০০ টাকা।

আবার দ্বিতীয় শ্রেণীর হোটেলে ভাড়া দিনভর স্বল্পতায় ৩০০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এমন লাক্সারি হোটেলের ভাড়া দিনভরে সাধারণত ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় এবং সেখানে বেশি খরচ হয় সুবিধার জন্য।

কক্সবাজার ভ্রমণের পূর্বে ফোনে যোগাযোগ করে বুকিংমানিং পাঠিয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ভালো। সরাসরি গিয়েও কথা বলে রুম ভাড়া নেওয়া যায়।

কক্সবাজারের ভ্রমণ স্পটগুলো – কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান

কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান সৈকত এবং পর্যটন গ্রহণের একটি খুব জনপ্রিয় স্থান। কক্সবাজারে ভ্রমণের কিছু জনপ্রিয় স্পট হলো:

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত – এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটকদের জনপ্রিয় স্থান। এখানে দেখা যায় পানির উচ্চতা ও সমুদ্রের নীল রঙ যা খুব আকর্ষণীয়।
  • সেন্ট মার্টিন দ্বীপ – কক্সবাজার হতে সীমানা দূরে একটি দ্বীপ। এটি সমুদ্র প্রকৃতি এবং খাবারের দৃশ্য নিয়ে সমৃদ্ধ একটি স্থান।
  • হিস্টরিকাল মহাকালের দরগা – এটি বিশ্ববিখ্যাত হওয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রায় ৮০০ বছরের পুরাতন মহাকালের মন্দির ও চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয়ের মৃত্যুর স্মারক দেখা যায়।
  • বেলুন – কক্সবাজারে বেলুন সার্ভিস পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে আপনি সমুদ্র সৈকত এবং কক্সবাজারের উপর থেকে দৃশ্যমান সুন্দর নজরদারি করতে পারেন।
  • কটিয়াদা বিচ –এটি একটি সুন্দর সৈকত, যেখানে আপনি সুন্দর সূর্যাস্ত দেখতে পারেন।
  • হিরা সীমেন্ট ফ্যাক্টরি সাইট – এটি সমুদ্রকে উপস্থাপন করার জন্য সৃষ্টিকৃত একটি দর্শনীয় স্থান।
  • মহেশখালী ঝর্ণা – এটি খুব সুন্দর একটি ঝর্ণা এবং পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।
  • রামপুর পাঁচটি রাশি মন্দির – এটি প্রাচীন সময়ের একটি বিশাল মন্দির।
  • সাগর কুটি: এটি সমুদ্রে উঠা একটি দ্বীপ। এখানে আপনি জীবনের একটি অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পাবেন।
  • হিমছড়ি ও ইনানী বিচ: ইনানী বিচ (Enani Beach) বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে লগভেল রাস্তার মাধ্যমে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই সৈকতে গিয়ে আপনি অবশ্যই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সৈকতে আছে ঘাসভরা পাহাড়, কার্নেল বন্য প্রাণী সমূহ ও নীরব সমুদ্র। এছাড়াও ইনানী বিচে স্থাপিত মোস্ট ফ্যামাস সু লেংথ সী বিচ অবস্থিত যা একটি খাবার স্টল ও ক্যাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

হিমছড়ি এটি কক্সবাজারের সবচেয়ে উচ্চ পর্বত। এখানে আপনি পার্বত্য দৃশ্য, মেঘলা দৃশ্য এবং রাঙামাটি ও কক্সবাজারের দৃশ্য দেখতে পারেন।

কক্সবাজারের ১২ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে দুটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। একটি হলো হিমছড়ি এবং অন্যটি হলো ইনানী। কক্সবাজার সমুদ্র থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অন্যতম আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত ইনানী সমুদ্র সৈকত। আর এই সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে মাত্র ১২ কিলোমিটার গেলেই পাওয়া যাবে আরেক দর্শনীয় পর্যটন স্থান হিমছড়ি।

কলাতলী থেকে জিপে চড়ে যেতে পারেন এ জায়গা দুটিতে। খুব সকালে গেলে জায়গা দুটি ঘুরে আবার দুপুরের মধ্যেই ফিরতে পারবেন কক্সবাজার শহরে। কক্সবাজার থেকে জিপে যেতে পারবেন এখানে। রিজার্ভ নিলে খরচ পড়বে দেড় থেকে আড়াইহাজার টাকা। আর লোকাল জিপে গেলে এ জায়গা দুটি ঘুরে আসতে জনপ্রতি খরচ হবে দুই আড়াইশ টাকা।

এছাড়াও মহেশখালী ঝর্ণা, ঢেউয়া দ্বীপ, স্থলকপির দ্বীপ, সাগরকন্যা পয়েন্ট, রামপুর বিচ, কক্সবাজার কটিয়াদা বিচ, পানি পুকুর, টেকনাফ বিচ, মর্মা হিল্স, ফয়েজটুল কবির মসজিদ, দর্শনীয় কক্সবাজার লাইটহাউস, বেয়ার্ডপুকুর সফারি পার্ক, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর, রুপসা ঝর্ণা দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

কক্সবাজারের খাবার ও খরচ

কক্সবাজারে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারবেন। খাবার খাবারের দাম বা খরচ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে তবে সাধারণত কক্সবাজারে খাবারের দাম মাঝারি হতে হয়।

প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেল বা হোটেলের সন্নিকটে রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল রয়েছে। কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ থাকে সাগরের বিভিন্ন মাছের মেন্যুর প্রতি। বিশেষ করে চিংড়ি, রূপচাঁদা, লাইট্যা, ছুরি মাছসহ মজাদার শুটকি মাছের ভর্তার প্রতিই পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি থাকে।

খাবারের মেন্যু অনুযায়ী একে রেস্টুরেন্টে একেক ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায়। তবে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত কিছু কিছু তালিকা ভোজন রসিকদের আশ্বস্ত করেছে। মোটামুটি ১০-৫০০ টাকার মধ্যে সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী মজাদার খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে খাবার গ্রহণের পূর্বে খাবারের নাম, মূল্য এবং তৈরির সময় সম্পর্কে জেনে নিন। প্রয়োজনে খাদ্যের তালিকা ও মূল্য টুকে রাখুন। তালিকা সঙ্গে মিলিয়ে বিল প্রদান করুন।

কক্সবাজারে আপনি সবচেয়ে বেশি খাবার হিসেবে সমুদ্র মাছ পাবেন। চিংড়ি ও মুদি মাছ, রুই, কাতলা মাছ, স্কুম্ব্রি মাছ, ইলিশ মাছ এবং বাঙ্গুদি মাছ খুব জনপ্রিয়। আপনি এছাড়াও আদন প্রদেশে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ খুঁজে পাবেন। রেস্তোরাঁতে আপনি পাস্তা, পুলাও, চাইনিজ খাবার, বাঙালি খাবার এবং ভারতীয় খাবার সমস্ত পাবেন। সাধারণত খাবারের দাম প্রতিটি ব্যাবসায়ীর উপর নির্ভর করে তবে কক্সবাজারে সাধারণত খাবারের দাম মাঝারি থেকে উচ্চ হয় না।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার উপায় ও খরচ

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে আপনার কাছে অনেক উপায় রয়েছে।

বাস: ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে চান তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার অথবা সরাসির বাসে কক্সবাজারে যেতে পারে। ঢাকার ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়।এসি ও নন এসি, ডিলাক্স ও সাধারণ এসব সরাসরি বাস পরিবহনের ভাড়া পড়বে ১২০০-১৮০০ টাকা পর্যন্ত। সোহাগ, গ্রীন লাইন ছাড়াও ঈগল ও অন্যান্য পরিবহনের বাস চলাচল করে।

ট্রেন: ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়া যায়। ঢাকার কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ট্রেন বা বাস ছেড়ে যায়। তবে টিকেট বুকিং আগেভাগেই করে রাখা ভালো।

গাড়ি ভাড়া: আপনি একটি গাড়ি ভাড়া করে কক্সবাজার যেতে পারেন। এটি খুব দ্রুত এবং আপনাকে আপনার পছন্দমতো ব্যবহার করতে পারেন। তবে গাড়ি ভাড়া খরচ সর্বাধিক হবে আপনার যানবাহনের সাইজ এবং বিভিন্ন আরও ফ্যাক্টরে নির্ভর করে।

উপভোগ্য সুবিধাদি ও খরচ

বিচ ফটোগ্রাফি: কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুমে শ দুয়েক বিচ ফটোগ্রাফার পর্যটকদের ছবি তুলে থাকে। প্রায় ঘন্টা খানেকের মধ্যেই এসব ছবি প্রিন্ট করে নেগেটিভসহ পর্যটকদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা রয়েছে। লাল পোশাক পরা এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের প্রত্যেকের রয়েছে একটি করে আইডি কার্ড।বেশ কয়েকটি স্টুডিও এ কাজের সঙ্গে জড়িত। সরকারি রেট অনুযায়ী ফোরআর সাইজের ছবি ৩০টাকা । এ সম্পর্কিত সাইনবোর্ড মেইন বিচে দেখতে পাওয়া যায়। এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ছবি তোলার আগে আইডি কার্ড দেখে নেওয়া ভালো।

স্পিডবোট: বিচে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট চলে। মেইন বিচ থেকে এগুলো চলাচল করে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত। ভাড়া এক রাউন্ড ১০০টাকা। এছাড়া খোলা স্পিডবোটের সাহায্যে চলে লাইফ বোট জনপ্রতি ভাড়া ২৫০ টাকা।

বিচ বাইক: তিন চাকার বেশ কয়েকটি বিচে চলার উপযোগী বাইক কক্সবাজার সাগর সৈকতে চলাচল করে। প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে এসব বাইক রাউন্ড প্রতি পঞ্চাশ টাকা করে পর্যটকদের প্রদান করতে হয়।

সতর্কতা ও অন্যান্য তথ্য

সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিন। এ সম্পর্কিত ইয়াছির লাইফ গার্ডের বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড ও পতাকা রয়েছে বিচের বিভিন্ন স্থানে। জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসলে নামা নিরাপদ। এ সময় তাই জোয়ারের সময় নির্দেশিত থাকে, পাশাপাশি সবুজ পতাকা ওড়ানো হয়।

ভাটার সময়ে সমুদ্রে স্নান বিপজ্জনক ভাটার টানে মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে যে কেউ।তাই এ সময় বিচ এলাকায় ভাটার সময় লেখাসহ লাল পতাকা ওড়ানো থাকলে সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকুন। কোনোভাবেই দূরে যাবেন না। প্রয়োজেন পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ইয়াছির লাইফ গার্ডের সহায়তা নিন। ওদের জানিয়ে বিচে নামুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *