রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী ভ্রমণ গাইড
আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী কে ঘিরে। রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী কোথায় অবস্থিত,রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী এর ইতিহাস, কেন যাবেন চলন বিলতে, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন টি সাজানো হয়েছে। আশা করি, আমাদের মূল্যবান প্রতিবেদনটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী কোথায়?
বিভাগ | জেলা | উপজেলা | ইউনিয়ন |
রাজশাহী | নওগাঁ | আত্রাই | – |
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী সম্পর্কে কতটুকু জানেন?
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯১ সালের ১৫ অথবা ১৬ জানুয়ারী পতিসরে আসেন। পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি তদারকির জন্য কনিষ্ঠ পুত্র রবীন্দ্র নাথকেই নির্বাচিত করেন। রবীন্দ্রনাথ স্ত্রী, পুত্র, কন্যা নিয়ে প্রথমে শিলাইদহে আসেন ১৮৮৯ সালের নভেম্বর মাসে। শাহাজাদপুর আসেন ১৮৯০ সালের ১৩ জানুয়ারী। কবি ১৮৯১ সালের ১৩ জানুয়ারী শাহাজাদপুর থেকে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসর অভিমুখে রওনা হন। পতিসর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য একটি গ্রাম।পতিসরে নতুন ভূবনে নতুন মানুষরুপে পরিগণিত হতে লাগলেন। কলকাতার জেড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে বাংলাদেশের তিনটি জমিদারী ছিল। এর মধ্যে ভাগবাটোয়ারা সূত্রে রবীন্দ্রনাথের ভাগে পড়ে কালিগ্রাম পরগনা। কালিগ্রাম (পতিসর হল কালীগ্রাম স্টেস্টের কাচারীবাড়ী) থেকে স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে পত্রে লেখেন, ‘আজ আমি কালীগ্রাম এসে পৌঁছালুম, তিন দিন লাগল। অনেক রকম জায়গার মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে। প্রথমে বড় নদী, তারপরে ছোট নদী, দুধারে গাছপালা চমৎকার দেখতে ………………….। তিনি অনুন্নত পরগণার রাস্তাঘাট নির্মাণ, কূপ, দীঘি, পুকুর খনন, জঙ্গল পরিস্কার, গ্রাম্য শালিসী ব্যবস্থা ও মহাজনদের সুদের হাত থেকে দরিদ্র প্রজাদের রক্ষা করেন। নওগাঁ ও বগুড়া জেলার ৬০০টি গ্রাম নিয়ে কালিগ্রাম পরগনা গঠিত। এর আয়তন ছিল ২৩০ বর্গমাইল। রবীন্দনাথ ঠাকুর পরগণার উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার দিকে বেশি গুরুত্ব দেন। পরগণার মুক এ মূঢ় মানুষগুলোর শিক্ষার জন্য গ্রামে গ্রামে অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন। পরগণার ৬০০টি গ্রামেই এ পাঠশালা শুরু হয়েছিল। পতিসর, রাতোয়াল, কামতা তিনটি বিভাগে তিনটি মধ্য ইংরেজী (এম, ই) স্কুল ও পতিসরে একটি হাইস্কুল স্থাপন করেন। স্কুলের ভবন, ছাত্রাবাস, অন্যান্য খরচ এস্টেট থেকে বহন করা হতো। কালীগ্রাম পরগণার প্রজাদের শিক্ষায় আলোকিত করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তিনটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙ্গালীর জীবনে এক নতুন দিগন্ত উম্নোচন করেন। এবছর গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। এ পুরস্কারের সমুদয় অর্থ কালীগ্রাম পরগণার উন্নয়নে কাজে লাগান। পতিসরে অবস্থিত কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন। ১৯৮১ সাল থেক ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত (পতিসর থেকে বিদায় নেবার সময় পর্যন্ত) অসংখ্য কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস ও চিঠিপত্র লিখেছেন।
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে কেন যাবেন?
ভ্রমন পিপাসু মানুষ দের কে যদি এই কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে তারা এই কথা অহেতু হাসির ছলে উড়িয়ে দিবে । কারন, ভ্রমন পিপাসু মানুষদের কাছে এই কথা মূল্যহীন । তবুও বলি,
- রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী একটি দর্শনীয় স্থান ।
- রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী অত্যন্ত মনোরম, যা আপনার মনকে প্রফুল্ল করে তুলবে ।
- রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী গিয়ে রবি ঠাকুর সম্পর্কের অনেক অজানা কথা জানতে পারবেন যা বই পুস্তকে তুলে ধরা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে ভ্রমন করলে আপনি হতাশ হবেন না । এটি আমরা হরফ করে আপনাদের জানান দিয়ে দিতে পারি ।
কিভাবে রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে যাবেন ?
যে কোন স্থান হতে বাস যোগে, ট্রেন যোগে ও বিমানের মাধ্যমে রাজশাহী যেতে পারেন। তারপর নওগাঁ হতে রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে যাওয়ার উপায় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
নওগাঁ বাস টার্মিনাল থেকে রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী
নওগাঁ জেলা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ইজিবাইক/ অটোরিক্সা যোগে চলন বিল যাওয়া যায়। গাড়ি থেকে নেমেই রাস্তার পাশে রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী দেখা যায়।
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে থাকবেন কোথায়?
দেশের নানা প্রান্ত থেকে রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে ভ্রমনে ভ্রমনযাত্রী আসতে পারে, যাদের একদিনের মধ্যে ভ্রমন করে আবার বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা । তাই আপনার ভ্রমনে চিন্তা কোনো প্রকার না আসে সে জন্য ক্ষুদ্র প্রয়াসে নওগাঁ সদরের আশে পাশের কিছু হোটের নাম তুলে ধরছি- হোটেল প্লাবন, হোটেল যমুনা, হোটেল অবকাশ ইত্যাদি । যেখানে, আপনি সেফলি থাকতে পারবেন । ম্যাপে নাটোর সদরের আশে পাশের কিছু হোটেলের নাম ও তাদের খরচ সম্পর্কে দেওয়া হলো,
মন্তব্য
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতকে নিয়ে আমাদের প্রতিবেদনটি আশা করি আপনাদের ভালও লেগেছে । আমাদের প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো তা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না । পরিশেষে, ধন্যবাদ আমাদের প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ।