বালাসীঘাট ভ্রমণ গাইড
আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি বালাসীঘাট কে ঘিরে। বালাসীঘাট কোথায় অবস্থিত, বালাসীঘাট এর ইতিহাস, কেন যাবেন বালাসীঘাটe, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন টি সাজানো হয়েছে। আশা করি, আমাদের মূল্যবান প্রতিবেদনটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
বালাসীঘাট কোথায়?
বিভাগ | জেলা | উপজেলা | ইউনিয়ন |
রংপুর | গাইবান্ধা | – | – |
বালাসীঘাট সম্পর্কে কতটুকু জানেন?
১৯৩৮ সালে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরির সার্ভিস চালু করা হয়। তৎকালীন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর জেলার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগর ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যাত্রী ও মালামাল পারাপারের জন্য যোগাযোগ গড়ে তুলতে এ ফেরি সার্ভিসটি চালু করে। এরপর থেকেই এ ঘাট দিয়ে স্বল্পব্যয়ে অল্প সময়ে যাত্রী পারাপার, কৃষিপণ্য, ডিজেল, সার সরবরাহসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা হতো। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি সার্ভিসটি তিস্তামুখঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়।বালাসীঘাটের মনরম সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। অনেকে সকালে সপরিবারে বেড়াতে এসে সারাদিন থেকে সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরছেন। সঙ্গে নিয়ে ফিরছেন আনন্দময় স্মৃতি। শহর থেকে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দূরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের কুলঘেষা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বাঁধ এলাকা ধীরে ধীরে সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।বালাসীঘাট বাঁধ এলাকা সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বিকেলে এখানে অনেকেই দল বেঁধে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন। ঈদ, পূজা, নববর্ষ ও ভেলেন্টাইন ডে সহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে এলাকাটি ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উত্তাল ঢেউ, নির্মল বাতাস আর বাহারি নৈসর্গিক প্রকৃতি আগতদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়। দর্শনার্থীরা এখানে এসে নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো, নদীতে নৌকাভ্রমণ, চরের মাঝে ফসলের জমিতে হাটতে এবং নদের উপর বেধে রাখা বাংলাদেশ রেলওয়ের ফেরীর ওপরে দাঁড়িয়ে নদীর বুকে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পান।শুধু জেলা শহর থেকেই নয়, আশপাশের জেলাগুলো থেকেও অনেকে এখানে বেড়াতে আসেন ।
বালাসীঘাটে কেন যাবেন ?
ভ্রমন পিপাসু মানুষ দের কে যদি এই কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে তারা এই কথা অহেতু হাসির ছলে উড়িয়ে দিবে । কারন, ভ্রমন পিপাসু মানুষদের কাছে এই কথা মূল্যহীন ।
কিভাবে বালাসীঘাটে যাবেন ?
যে কোন স্থান হতে বাস যোগে, ট্রেন যোগে ও বিমানের মাধ্যমে রংপুর যেতে পারেন। তারপর গাইবান্ধা হতে বালাসীঘাটে যাওয়ার উপায় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
গাইবান্ধা বাস টার্মিনাল থেকে বালাসীঘাট
গাইবান্ধা জেলা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ইজিবাইক/ অটোরিক্সা যোগে বালাসীঘাট যাওয়া যায়। গাড়ি থেকে নেমেই রাস্তার পাশে বালাসীঘাট দেখা যায়।
বালাসীঘাটে থাকবেন কোথায়?
দেশের নানা প্রান্ত থেকে বালাসীঘাট ভ্রমনে ভ্রমনযাত্রী আসতে পারে, যাদের একদিনের মধ্যে ভ্রমন করে আবার বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা । তাই আপনার ভ্রমনে চিন্তা কোনো প্রকার না আসে সে জন্য ক্ষুদ্র প্রয়াসে বালাসীঘাটের আশে পাশের কিছু হোটেলের নাম তুলে ধরছি । যেখানে, আপনি সেফলি থাকতে পারবেন । ম্যাপে বালাসীঘাটের আশে পাশের কিছু হোটেলের নাম ও তাদের খরচ সম্পর্কে দেওয়া হলো,
বালাসীঘাটের কে নিয়ে আমাদের প্রতিবেদনটি আশা করি আপনাদের ভালও লেগেছে । আমাদের প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো তা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না । পরিশেষে, ধন্যবাদ আমাদের প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য।