তিন নেতার মাজার – স্থাপত্য নিদর্শন
আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি তিন নেতার মাজার কে ঘিরে। তিন নেতার মাজার কোথায় অবস্থিত, ইতিহাস, কাঠামো, কেন যাবেন, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন টি সাজানো হয়েছে। আশা করি, প্রতিবেদনটি পড়ে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানতে পারবেন।
পূর্ব বাংলার তিন বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা বা বাংলাদেশের জাতীয় তিন নেতা – হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ও শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এর কবরের উপর নির্মিত বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন। ১৯৬৩ সালে স্থপতি মাসুদ আহমেদ এবং এস এ জহিরুদ্দিন প্রখ্যাত তিন নেতার স্মরণে এটি নির্মাণ করেন। এটি মূলত স্থাপত্যিক ভাস্কর্য। স্থাপনাটি আশির দশকে নির্মিত হয়। তিন নেতার মাজারের কাছেই রয়েছে হাইকোর্ট এবং শিশু একাডেমি।
তিন নেতার মাজারের অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে তিন নেতার মাজার অবস্থিত।
- জেলাঃ ঢাকা
- উপজেলাঃ সদরঘাট
তিন নেতার মাজার কেন যাবেন?
স্বাধীনতার পূর্ব সময়ে এই তিন মহান নেতাই তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিন নেতার রাজনৈতিক চর্চার বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলার বাঘ খ্যাত শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। ফজলুল হক ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তাঁকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র হন এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
মহান তিন নেতার ইতিহাস, সমাধি ও স্মৃতিচারণে তিন নেতার মাজারে ঘুরে আসতে পারেন।
ব্যয়
কোন প্রকার টিকিট বা খরচ লাগে না।
পরিদর্শনের সময়
দিনের যে কোন সময়ে পরিদর্শন করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন ?
ঢাকার যেকোন স্থান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দোয়েল চত্বরে থেকে হেঁটে তিন নেতার মাজার পৌঁছাতে পারবেন।
কোথায় খাবেন ?
খাবারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিন, টি.এস.সি, ডাকসু, হাকিম চত্বর এবং সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে লাল চা, সমুচা, চপ, সিঙ্গারা, চিকেন প্যাটিস থেকে শুরু করে ভাত, ডাল, আলুভর্তা, মুরগির মাংসের তরকারি, মুরগি ও ডিম খিচুড়ি এবং তেহারি খেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার শহরের আনাচে-কানাচে অগণিত ভালো ভালো হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। আপনি সেগুলি থেকে আপনার পছন্দের খাবার খেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
ঢাকার শহরের আনাচে-কানাচে অগণিত ভালো ভালো আবাসিক হোটেল। আপনি সেগুলিতে অনায়াসে থাকতে পারেন।
ম্যাপ
তিন নেতার মাজারের গুগল ম্যাপ যুক্ত করা হয়েছে। যা দেখে আপনি সহজেই আপনার পথ খুজে পাবেন।