মাস্টার মুভি রিভিউ

মাস্টার মুভির রিভিউ পড়ার আগে। মাস্টার তামিল মুভির অভিনেতা, অভিনত্রী, নির্মাতাসহ সকল কলাকুশলী ও মুক্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য নিচের প্রদত্ত লিংক থেকে জেনে আসুন।

মাস্টার মুভি

মাস্টার সিনেমা সম্পর্কিত তথ্যাদি জানা থাকলে আমাদের রিভিও পড়ে মজা পাবেন এবং আপনি আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। আর হ্যা আপনি চাইলে আপনার প্রিয় মুভি বা তারকার সম্পর্কে আপনার মতামত বা রিভিউ লিখে আমাদের পাঠাতে পারেন। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক……

মাস্টার মুভি রিভিউঃ থালাপতি বিজয় ও বিজয় সেথুপতি অনিন্দ্য পারফরমেন্স

  • পার্সোনাল রেটিংঃ ৮/১০
  • রিভিউকারীঃ আরিয়ান

মুভিটি অনেকদিন আগে দেখা হইছিল, ব্যস্ততার কারণে লিখতে পারি নাই। আজ ফাইনালি আমার প্রিয় প্লাটফর্ম একটি বাংলাদেশে মুভিটির রিভিউ লিখতে বসে গেছি। চেষ্টা করবো নিয়মিত লেখার। আর আমি একটু ব্যতিক্রমভাবে অর্থাৎ আমার নিজের মতো করে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখপূর্বক রিভিউ লিখছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

টাইটেল

প্রথমেই বলে নেই মুভির টাইটেল সম্পর্কে। মুভির টাইটেল মাস্টার, যা মেইনলি বিজয়ের চরিত্রের সাথে মিল রেখে নাম করণ করেছে। সিনেমাটিতে বিজয়কে দেখা গেছে ভিন্নধর্মী শিক্ষক হিসেবে। অভিনয় ও চরিত্র অংশে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাবে। টাইটেল একদম পারর্ফেক্ট ছিলো।

কাস্টিং, রোল ও অভিনয়

এবার আশা যাক কাস্টিং, রোল ও অভিনয়ের দিকে। এই অংশে মূল চরিত্রের কিছু তারকাদের সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে জানা যাক।

বিজয়ঃ জে ডি চরিত্রে বিজয় একদম পারফেক্ট ছিলো। আমি বলবো না যে এই চরিত্রের জন্য কোন রিপ্লেসমেন্ট নাই, তবে তার মতো জেডির চরিত্র এমন সুন্দরভাবে অন্য কেউ উপস্থাপন করতে পারবে বলে মনে হয় না। বিজয়ের নিজস্ব স্টাইল, মনমাতানো এক্টিং বরাবরই ভালো লাগে। তাই বলতে পারি জে ডি রোলের জন্য পারফেক্ট কাস্টিং ছিলো আমাদের প্রিয় জোসেফ বিজয় এবং অস্থির পারর্ফোমেন্স দেখতে পেয়েছি।

বিজয় সেথুপতিঃ মুভিটির আরও একটি অন্যতম চরিত্র ছিলো ভবানী, চরিত্রটিতে কাস্ট করা হয়েছিল বিজয় সেথুপতিকে। আমার মনে হয় নেগেটিভ ভবানী চরিত্রের জন্য বিজয় সেথুপতির কোন রিপ্লেসমেন্ট নাই। তার অভিনয় ছিলো মনোমুগদ্ধকর। দিন দিন তার অভিনয়ের মাত্রা ও ফ্যানবেজ আরও স্ট্রং হচ্ছে। আমার আছে মনে হয়, বিজয় সেথুপতি পজেটিভ ও নেগেটিভ উভয় চরিত্রের জন্য মানানসই অভিনেতা। তাই বলতে পারি ভবানী রোলের জন্য পারফেক্ট কাস্টিং ছিলো বিজয় সেথুপতি। আশা করি, আমার মতো অনেকেরই এই চরিত্র ভালো লেগেছে।

মালভিকা মোহানানঃ মুভিটির নায়িকা অর্থাৎ চারুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মালভিকা মোহানান। কিন্তু গল্পে চারুর চরিত্রে তেমন গুরুত্ব লক্ষ্য করিনি। সিনেমাতে নায়িকা/গ্লামার থাকলে ভালো লাগে তাই নেওয়া এমন মনে হইছে। তবে অভিনয় অনেক ভালো করেছে। আমি আগে তার কোন মুভি দেখি নাই, তবে ভালো ছিলো।

অর্জুন দাসঃ মুভিতে আমার দ্বিতীয় পছন্দের নেগেটিভ চরিত্র ছিলো দাস। দাস চরিত্রে দেখা গেছে অর্জুন দাসকে। আমার অর্জুনের অভিনয় অনেক ভালো লেগেছে। আগে দু-চারটা সিনেমায় দেখেছি কিন্তু এই সিনেমায় বেশী ভালো লাগছে। দাস চরিত্র ফারডালা ম্যারা ভাই, স্কিন ফারকে রাখডালা।

আন্দ্রে জেরেমঃ মুভিতে আন্দ্রে জেরেমকে দেখা গেছে বনাথী চরিত্রে, যার খুবই ভালো তীরন্দাজ ও জে ডির ফ্রেন্ড। অনেকটা লেডি অ্যাকশন ভাইব আনার চেষ্টা করেছে। মুভিতে নায়িকার চেয়ে ভালো ভূমিকা ছিলো।

গৌরী জি.কিশানঃ গৌরী জি.কিশান তো ৯৬ মুভির পর থেকেই ফুল ফর্মে আছে। ভালো ভালো চরিত্রে তারে দেখা যাচ্ছে। এই মুভিতেও ব্যতিক্রম ছিলো না। এই মুভিতে সাভিতা চরিত্রে দেখা গেছে। যে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার নির্বাচনে ভাগবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।

এই চরিত্রগুলির বেশী ভূমিকা ছিলো মুভিটিতে, এছাড়া শান্তনু ভাগ্যরাজ, নাসের, রাম্যা সুব্রমনিয়াসহ আরও অনেকে ছিলো। তারা যে যার চরিত্রগুলি যথার্থভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

মেকিং

মেকিং এর কথা বলতে গেলে প্রথমেই আমার মনে আসে মুভির বিজিএম এর কথা, সিনেমাতে অস্থির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিলো। যা অনিরুধ রবিচন্দ্র করেছেন। বরাবরের মতো এবারও অনিরুধ রবিচন্দ্র অনেক সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও গান আমাদের উপহার দিয়েছেন মুভিটিতে। কথায় আছে, বি জি এম সিনেমার প্রাণ, মুভিটির বিজিএম আমার অনেক পছন্দনীয় ছিল।

সিনেমার গানগুলি আগেই ইউটিউবে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছিল। আমার পার্সোনালি ভাথি কামিং গানটি অনেক বেশী পছন্দ ছিলো। আমরা সবাই জানি অনিরুধের মিউজিকে নিজস্ব প্যাটান আছে, যেমনটা ধানুসের মারি, নানির গ্যাং লিডার, অজিতে ভেদালাম, শিবকার্থিকায়ণের ডক্টর, রাজনিকান্তের পেত্তার গানগুলিতে শুনতে পেয়েছি। তাছাড়া গানটিতে সাউথ ইন্ডিয়ান একটা ভাইব ছিলো।

মুভিটির ভিজুয়াল মেকিং এর ব্যাপারে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় লোকেশ কানগরাজ এর কথা। ইতিমধ্যেই কাইথি মুভির মাধ্যমে দর্শপ্রিয় হয়ে গেছেন এই নির্মাতা। কাইথি মুভির দিয়েই তার মুভি দেখা শুরু আমার। মুভিগুলি অনেক ভালো হয়। অনেকটা সিলেক্টিভ কাজ করছেন বলা যায়। মেকিং নিয়ে তেমন কিছু বলার নাই। এক কথায় বলতে গেলে বলবো ভালো ছিলো।

প্লট

এবার সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে বলি। আমার মনে হয়, সিনেমার গল্পই সিনেমার ভালো খারাপের পেছনে থাকে। একটা ভালো গল্প দিতে পারে জনপ্রিয়তা আবার একটা খারাপ গল্প নিমিষেই ডুবিয়ে দিতে পারে, যত ভালো মেকিং বা কাস্ট থাকুক না কেন। তাই গল্প নির্বাচন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। মাস্টারের বেলায় গল্প আহামরি ভালো ছিলো তাও নয়, আবার একদম ফালতুও ছিলো না। আমার কাছে মনে হইছে এভারেজ স্টরি ছিলো। দুই চরিত্র সমানতালে উঠাইতে গিয়ে প্লট তুলনামূলক দূর্বল হয়ে গেছিলো।

ওভারঅল

সর্বোপরি বলা যায়, ভালো মুভি ছিলো। আপনি যদি না দেখে থাকেন তবে দেখে নিতে পারেন। আপনার সময় নষ্ঠ হবে এটুকু বলতে পারি। তবে যদি হাই এক্সপেক্টেশন নিয়ে দেখেন তবে তুলনামূলকভাবে নিরাশ হইতেই পারেন। তবে দুই বিজয়, অনিরুধ ও লোকেশের ফ্যান হয়ে থাকলে তো ভালো লাগবেই। প্রিয় বলে কথা।

আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি আবার সময় করে অন্য কোন মুভি নিয়ে লিখবো। আপনাদের রিভিউটি ভালো খারাপ যাই লাগুক কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *