বাংলাদেশের বীমা ব্যবস্থা

বীমা হলো একটি আর্থিক প্রক্রিয়া যা কোন জীবন বীমাধারী বা সংস্থা একটি অর্থ প্রতিকূল হওয়ার ক্ষতি থেকে তাঁর নিজস্ব সুরক্ষা সংক্রান্ত জনসাধারণ এবং ব্যবসায়ী জীবন সম্পদ রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। বীমা সম্পত্তি এবং ব্যক্তিগত সুস্থতার জন্য সুরক্ষা প্রদান করে এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে।

বীমা পদ্ধতিতে একটি বীমাধারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করে একটি বীমাকৃত জিনিস একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুরক্ষিত করতে পারে। বীমা কোন অপুষ্টি বা অক্ষমতা হওয়ার ক্ষতি বা কোন অনুপযোগী ঘটনার জন্য জীবন বীমাধারীর জীবন এবং আর্থিক সুরক্ষা সম্পর্কে চিন্তা করার প্রয়োজন না হলেও এটি একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৭৯টি বীমা কোম্পানি বীমা সেবা দিচ্ছে যার মধ্যে ৩৫টি লাইফ বীমাকারী কোম্পানি এবং ৪৬টি নন-লাইফ বীমাকারী কোম্পানি। লাইফ বীমাকারী কোম্পানির মধ্যে ১টি সরকারী এবং ৩৪টি বেসরকারি মালিকানাধীন। অন্যদিকে নন-লাইফ বীমাকারী কোম্পানির মধ্যে ১টি সরকারী এবং ৪৫টি বেসরকারি মালিকানাধীন।

বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের বীমা হয়–জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা। জীবন বীমায় একজন ব্যক্তি নিজের বা পরিবারের কোন সদস্যের জীবন বীমা করাতে পারেন। এতে বীমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবার অথবা নমিনি করা ব্যক্তিকে বীমাকৃত অর্থের পুরোটাই প্রদান করা হবে।

আর সাধারণ বীমার মধ্যে স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি, যানবাহনসহ যত ধরনের বীমা হয় তার সব কিছুই পড়ে।

বিভিন্ন ধরনের বীমা

বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের বীমা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এখানে কয়েকটি প্রধান বীমা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:

  • জীবন বীমা: এই পদ্ধতিতে বীমাধারী তাঁর মৃত্যু বা অসম্পূর্ণ অক্ষমতা হওয়ার ক্ষতি সম্পর্কে সুরক্ষা পায়।
  • গৃহ বীমা: এই পদ্ধতিতে আবাসিক বা বাসায়ভিত্তিক সম্পদ বীমাধারীর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সাথে সুরক্ষা পায়।
  • ব্যবসায়িক বীমা: এই পদ্ধতিতে ব্যবসায় ও কারখানা সম্পদের বীমাধারী তাঁদের ব্যবসায়িক সম্পদ ও উপকরণের ক্ষতি সম্পর্কে সুরক্ষা পায়।
  • মোটর বাইক ও গাড়ির বীমা: এই পদ্ধতিতে মোটর সংশ্লিষ্ট সমস্যার জন্য বীমাধারী তাঁর গাড়ি বা বাইকের সুরক্ষা পেতে পারেন।
  • মারিন বীমা: এই পদ্ধতিতে জাহাজ ও পানির যানবাহন সংশ্লিষ্ট ক্ষতি সম্পর্কে সুরক্ষা পায়।

বাংলাদেশের মানুষের বীমার প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশের মানুষের জন্য বীমা প্রয়োজনীয় কারণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

সুরক্ষা প্রদান: বীমা মানুষের জীবন ও সম্পদ উন্নয়নে সাহায্য করে। বিভিন্ন কারণে মানুষের জীবন অথবা সম্পদে ক্ষতি হতে পারে, যেমন মৃত্যু, অনিয়মিত উদ্যোগ, বাসা ও সম্পদের ক্ষতি ইত্যাদি। বীমা দ্বারা এই ক্ষতি থেকে বাঁচানো হয়।

আর্থিক সুরক্ষা: বীমা মানুষের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। যখন কোন মানুষের সম্পদ ক্ষতি হয়, তখন তার বীমাধারী কোম্পানি তাকে ক্ষতিপূরণ করে দেয়। এটি মানুষের ব্যক্তিগত অর্থ সংরক্ষণে সাহায্য করে।

 

সম্পদ উন্নয়ন: বীমা মানুষের সম্পদ উন্নয়নের জন্য সাহায্য করে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবন ও ব্যবসায়িক প্রজন্মে তার সম্পদ উন্নয়ন করার জন্য বীমা খুবই গুরুতবপূর্ণ।

বীমা পলিসি ও প্রিমিয়ামের পরিমাণ

বীমা পলিসি হলো একটি বীমা কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি যাতে নির্দিষ্ট শর্তাদি অনুসারে মালিক বা বিতরণকারী কোন সম্পদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম পরিশোধ করে। পরিমাণ টি পলিসি এবং বিমা ধারকের সুবিধার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। বীমা প্রাপ্ত করার জন্য প্রায় সমস্ত বীমা কোম্পানি নির্ধারিত নিয়ম এবং শর্তাদি অনুসারে বিভিন্ন প্রিমিয়াম পরিশোধের প্ল্যান প্রদান করে।

বীমা পলিসি বিভিন্ন ধরণে পাওয়া যায়, যেমন জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাসা বীমা, চালক বীমা, ভ্যাটের বীমা ইত্যাদি। প্রিমিয়ামের পরিমাণ বিভিন্ন ধরণের বীমা পলিসির উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি বীমার জন্য প্রিমিয়াম পরিশোধের পরিমাণ:

সাধারণত একটি নতুন গাড়ির জন্য প্রথম বছরে বীমা প্রিমিয়াম উচ্চ হয়ে থাকে, যার পরিমাণ কারণে গাড়ির মূল্য, ব্র্যান্ড এবং মডেল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত এই পরিমাণ প্রথম বছরে গাড়ির মূল্যের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হয়ে থাকে, যার উপর ভিত্তি করে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি ১০ লাখ টাকার গাড়ি কিনেছেন তবে প্রথম বছরে আপনাকে প্রতিবছর প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে।

বাংলাদেশের বীমা কোম্পানিগুলি

বাংলাদেশে বিভিন্ন বীমা কোম্পানি রয়েছে যেমন:

  • জীবন বীমা কর্পোরেশন
  • সাধারণ বীমা কর্পোরেশন
  • আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (মেট লাইফ)
  • আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (এল আই সি)অব বাংলাদেশ লিমিটেড
  • মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • আকিজ তাকাফুল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি
  • অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • ক্রিষ্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড
  • জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • নর্দার্ণ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • পিপলস্ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
  • স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
  • ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

উপরে উল্লিখিত কোম্পানি গুলি বাংলাদেশে বীমা সেবা প্রদান করে থাকেন।

বীমা করার যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বীমা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি হতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। কিছু প্রধান যোগ্যতা এবং কাগজপত্র হল:

যোগ্যতা:

  • সঠিক ও পূর্ণতা সাপেক্ষে বিষয়টি বীমা করার প্রয়োজনীয় হবে।
  • বীমা নিবন্ধন করা প্রয়োজন।
  • যথাযথ বীমা কর পরিশোধের জন্য আর্থিক সম্পদ থাকতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • বীমার জন্য প্রস্তাবপত্র।
  • প্রস্তাবপত্রে উল্লিখিত শর্ত এবং নির্দেশাবলী সাপেক্ষে সম্পূর্ণ প্রমাণপত্র ও দলিল প্রস্তুত করতে হবে।
  • বীমার জন্য প্রদত্ত বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে প্রমাণপত্র যেমন জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাণিজ্যিক বীমা ইত্যাদি।
  • পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ যেকোনো আইডি প্রুফ।
  • সম্পত্তির নথি এবং পরিচয়পত্র

বাংলাদেশে বিদেশী ইন্সুইরেন্স কোম্পানি

বাংলাদেশে বিদেশী কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানি আছে সেটি বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবেশদ্বার পেয়েছেন কিছু প্রধান বিদেশী ইন্সুরেন্স কোম্পানি যেমনঃ জার্মান ইন্সুরেন্স কোম্পানি (Germania Insurance Company), ল্যাঙ্কা বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স কোম্পানি (LankaBangla Insurance Company) ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উন্নয়নের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো বিদেশী কোম্পানি সম্প্রসারণ করেছে তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানতে আপনি বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।

বাংলাদেশে শিক্ষা বীমা

বাংলাদেশে শিক্ষা বীমা আছে। শিক্ষা বীমা বাংলাদেশে ছাত্র-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থক হতে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার একটি বীমা পদ্ধতি।

এই বীমা পদ্ধতিতে স্কুল এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বীমা উপলব্ধ আছে। বীমা করতে হলে ছাত্র-ছাত্রীকে একটি নির্দিষ্ট প্রাপ্ত নম্বরের জন্য প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয়। ছাত্র-ছাত্রী যদি অকারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মৃত্যু হয় তবে বীমা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীর পরিবারকে নির্দিষ্ট পরিমানের আর্থিক সাহায্য দেয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু বীমা কোম্পানি শিক্ষা বীমা পদ্ধতি প্রদান করছে, যেমন জীবন বীমা করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, প্রাগতনা ইন্সিউরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ইত্যাদি।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বীমা

বাংলাদেশে একাধিক বীমা কোম্পানি স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করে। কিছু প্রধান কোম্পানি হলো:

গ্রামীণফোন স্বাস্থ্য বীমা
জীবন স্বাস্থ্য বীমা
প্রগতি স্বাস্থ্য বীমা
মেডিকেয়ার স্ট্যান্ডার্ড ইনশ্যুরেন্স লিমিটেড (একটি বেসরকারি বীমা কোম্পানি)
এছাড়াও, বিনা লাভজনক সংস্থাগুলি যেমন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ লেনস এসোসিয়েশন এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এছাড়াও স্বাস্থ্য বীমা সরবরাহ করে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সেরা বীমা কোম্পানি ও পলিসি

 

বাংলাদেশে বেশ কিছু বীমা কোম্পানি আছে যেগুলো প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচলিত রয়েছে। এই কোম্পানিগুলো আমাদের সকলের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এবং সেরা হিসাবে পরিচিত:

  • প্রগতি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • জনতা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • গ্রামীনফোন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  • প্রিমিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

এই সকল কোম্পানি বাংলাদেশের বীমা বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিটি কোম্পানি স্বল্প প্রিমিয়াম এবং উচ্চ সুবিধা দিতে চেষ্টা করে। আপনি স্বচ্ছতার সাথে বীমা করার জন্য এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেকোন একটি নির্বাচন করতে পারেন।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সেরা বীমা পলিসি কোনটি

বাংলাদেশে একাধিক প্রকার বীমা পলিসি রয়েছে এবং জনপ্রিয়তা পানে একাধিক পলিসি থাকতে পারে। তবে সাধারণত বীমা কোম্পানির জন্য বেশি প্রচলিত পলিসি হল জীবন বীমা ও মৃত্যুবাধা বীমা।

জীবন বীমা হল ঐ পলিসি যেখানে কোন ব্যক্তি নিরাপদ থাকতে চায় তার জীবন বিষয়ক সমস্যার জন্য একটি নিরাপদ প্রদান করে থাকে। এই পলিসিতে যে ব্যক্তি বীমাধারী হয় তার নিরাপত্তা সম্পর্কিত সমস্যা পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। আর মৃত্যুবাধা বীমা একটি বীমা পলিসি যেখানে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় তার পরিবারের সাথে একটি নিরাপদ প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশের সেরা বীমা পলিসি

বাংলাদেশে সেরা বীমা পলিসি হল মারিন কার্গো বীমা পলিসি। এই পলিসিতে মারিন কার্গো সহ বিভিন্ন ধরণের জাহাজ, বোট এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বীমা করা যায়। এছাড়াও এই পলিসির মাধ্যমে শিপওয়্রেক, মালবাহী ইত্যাদি ঘটনার ক্ষতিগ্রস্ত পুনঃস্থাপন করার জন্য বিমা বন্ধু সুবিধা ও সহায়তা পাওয়া যায়। মারিন কার্গো বীমা পলিসি বাংলাদেশের প্রথম সম্পূর্ণ প্রদর্শন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বীমা পলিসির মধ্যে অধিকাংশ জনের পছন্দ পেয়েছে।

বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য বীমা সুবিধা

বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য বীমা সুবিধা নেওয়া উচিত। বীমা মানুষের সুরক্ষা ও অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জনসাধারণের জীবনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও অনেক মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে বীমা করে তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও আর্থিক সুবিধা পান।

বিশেষত, গাড়ি চালকদের জন্য গাড়ি বীমা, হোম অ্যান্ড প্রপার্টি মালিকদের জন্য বাসা ও সম্পত্তি বীমা, ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা বীমা এবং কৃষি ক্ষেত্রে কৃষি বীমা উল্লেখযোগ্য।

তবে, বীমা সুবিধা নেওয়া সম্ভব না হওয়া কারণে এর জন্য সকল মানুষ প্রাথমিকভাবে সঠিক জ্ঞান ও সুবিধা পেতে হবে।

সতর্কতা

বীমা করার আগেই একজন গ্রাহককে কয়েকটি বিষয় খেয়াল করতে হবে।

  • বীমা করার আগে সংশ্লিষ্ট বীমার শর্তাদি দেখে, জেনে এবং বুঝে নিতে হবে।
  •  প্রিমিয়াম জমা দেয়ার নিয়মাবলী এবং সময়সীমা পার হয়ে গেলে কী করণীয় ভালো করে জেনে নিতে হবে।র
  • মেয়াদ পূর্তির পর ঠিক কত টাকা এবং কতদিনের মধ্যে সে প্রতিশ্রুত অর্থ পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিতভাবে জেনে নিতে হবে।
  • মেয়াদ পূর্তির পর যথাসময়ে প্রতিশ্রুত অর্থ পাওয়া না গেলে গ্রাহকের কী আইনি সুরক্ষা থাকছে সেটা জেনে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *