আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি কুসুম্বা মসজিদ কে ঘিরে। কুসুম্বা মসজিদ কোথায় অবস্থিত,কুসুম্বা মসজিদ এর ইতিহাস, কেন যাবেন কুসুম্বা মসজিদে, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন টি সাজানো হয়েছে। আশা করি, আমাদের মূল্যবান প্রতিবেদনটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
বিভাগ | জেলা | উপজেলা | ইউনিয়ন |
রাজশাহী | নওগাঁ | – | – |
মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল(১৫৫৮-১৫৬৯খ্রিষ্টাব্দ)।[২] আফগানি শাসনামলের শুর বংশের শেষদিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে[২] সুলায়মান নামে একজন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদের তিনটি গুম্বজ নষ্ট হয়েছিল। পরে সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংস্কার করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মসজিদের চতুর্দিকে এবং পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত দিঘির পাড়ে ফুলের বাগান নির্মান, আলোকসজ্জার কাজ করা হয়।
মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ফুট, প্রস্থে ৪২ফুট। দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা। প্রাচীর ঘেরা মসজিদটির প্রধান ফটকে প্রহরী চৌকি ছিল। মসজিদটিতে ইটের গাঁথুনি, সামান্য বাঁকানো কার্ণিশ এবং সংলগ্ন আটকোণা বুরুজ। এগুলো থেকে মসজিদের স্থাপত্যে বাংলা স্থাপত্যরীতির প্রভাব পাওয়া যায়।[২] মসজিদের মূল গাঁথুনি ইটের হলেও এর সম্পূর্ণ দেয়াল এবং ভেতরের খিলানগুলো পাথরের আস্তরণে ঢাকা। মসজিদের স্তম্ভ, ভিত্তি মঞ্চ, মেঝে ও দেয়ালের জালি নকশা পর্যন্ত পাথরের। মসজিদটি আয়তাকার এবং এতে রয়েছে তিনটি বে এবং দুটি আইল। এর পূর্বপ্রান্তে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি করে প্রবেশপথ। মসজিদের কেন্দ্রীয় মিহরাবটি পশ্চিম দিকের দেয়ালের থেকে আলাদা। পশ্চিম দেয়ালের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং মাঝামাঝি প্রবেশপথ বরাবর দুটো মিহরাব রয়েছে যা মেঝের সমান্তরাল।[৫][৬] উত্তর-পশ্চিম কোণের বে-তে মিহরাবটি একটি উঁচু বেদীর উপর বসানো। মোট মিহরাব আছে ৩টি, যার সবগুলো কালো পাথরের তৈরি। মসজিদটির সম্মুখে ২৫.৮৩ একের আয়তনের একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে। মিহরাবে আঙ্গুরগুচ্ছ ও লতাপাতার নকশা খোদিত রয়েছে।মসজিদের ভিতরে উত্তর-পশ্চিম কোনের স্তম্ভের উপর একটি উঁচু আসন আছে। ধারনা করা হয়, এই আসনে বসেই তৎকালীন কাজী/বিচারকরা এলাকার বিভিন্ন সমস্যার বিচার কার্য পরিচালনা করতেন।
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে ভ্রমন করলে আপনি হতাশ হবেন না । এটি আমরা হরফ করে আপনাদের জানান দিয়ে দিতে পারি ।
যে কোন স্থান হতে বাস যোগে, ট্রেন যোগে ও বিমানের মাধ্যমে রাজশাহী যেতে পারেন। তারপর নওগাঁ হতে কুসুম্বা মসজিদে যাওয়ার উপায় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
নওগাঁ জেলা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ইজিবাইক/ অটোরিক্সা যোগে চলন বিল যাওয়া যায়। গাড়ি থেকে নেমেই রাস্তার পাশে কুসুম্বা মসজিদ দেখা যায়।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে কুসুম্বা মসজিদে ভ্রমনে ভ্রমনযাত্রী আসতে পারে, যাদের একদিনের মধ্যে ভ্রমন করে আবার বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা । তাই আপনার ভ্রমনে চিন্তা কোনো প্রকার না আসে সে জন্য ক্ষুদ্র প্রয়াসে নওগাঁ সদরের আশে পাশের কিছু হোটের নাম তুলে ধরছি- হোটেল প্লাবন, হোটেল যমুনা, হোটেল অবকাশ ইত্যাদি । যেখানে, আপনি সেফলি থাকতে পারবেন । ম্যাপে নাটোর সদরের আশে পাশের কিছু হোটেলের নাম ও তাদের খরচ সম্পর্কে দেওয়া হলো,
কুসুম্বা মসজিদকে নিয়ে আমাদের প্রতিবেদনটি আশা করি আপনাদের ভালও লেগেছে । আমাদের প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো তা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না । পরিশেষে, ধন্যবাদ আমাদের প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ।
মন্তব্য করুন